বিশ্বে এই প্রথম ফ্লেক্সিবল স্মার্টফোন তৈরি করেছেন প্রকৌশলীরা।
বেন্ড সেন্সর কাজে লাগাতে পারে এমন মুঠোফোন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন কানাডীয় গবেষকেরা।
এই প্রযুক্তির সাহায্যে সেলুলারটিকে বাঁকালেই বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানোর কাজ খুব সহজেই নকল করতে পারে এই নতুন মুঠোফোনটি। ফোনটির স্ক্রিনের ডিসপ্লে না ছুঁয়েই গেম খেলা যায় অনায়াসে।
এই নতুন রিফ্লেক্স ফোনটির স্রষ্টা দেশটির কুইনস ইউনিভারসিটির হিউম্যান মিডিয়া ল্যাবের বিজ্ঞানীরা।
ফুল কালার ও হাই রেজোল্যুশনের এই স্মার্টফোনে মাল্টিটাচের সঙ্গে প্রযুক্ত রয়েছে বেন্ড ইনপুট।
এতে ব্যবহারকারীর স্পর্শ ছাড়াই বাঁকানো অঙ্গ-ভঙ্গিমার সাহায্যে (বেন্ড জেসচার) শারীরিক ফিডব্যাকের (ফিজিক্যাল টেকটাইল এক্সপেরিয়েন্স) অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন এই মুঠোফোনটির মাধ্যমে।
ফলে ফ্লেক্সিবল স্মার্টফোনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন এক উপায় উদ্ভাবিত হলো।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ল্যাবের পরিচালক রয়েল ভার্টিগাল জানান,এই স্মার্টফোনটিকে ডানে বাঁকানো শুরু করলে ই-বুকের পৃষ্ঠাগুলো ডান থেকে বামে উল্টাতে থাকে| তর্জনির সাহায্যে বইয়ের পাতা ঠিক যেভাবে উল্টানো হয়।
বেন্ড সেন্সর প্রযুক্ত এই ফোনটিকে জোর দিয়ে বেশি মাত্রায় বাঁকানো শুরু করলে ই-বুকের পৃষ্ঠা উল্টানোর গতিও বাড়তে থাকে।
আজ নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠেয় হিউম্যান-কম্পিউটার- ইন্টারএকশান কনফারেন্সে এই ফ্লেক্সিবল স্মার্টফোনটিকে উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
আগামী ৫ বছরের মধ্যেই এই ফোনটির বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে ইঞ্জিনিয়রবিডি ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।
ইঞ্জিনিয়রবিডি ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট অাইনে পু্র্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবেনা ।